কেন আমরা সিগারেট খাই ????

Google Ads

যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অনেক পুরুষ এখন ফ্যাশনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। অনেকের ধারণা, সিগারেট খেলে হয়তো ফ্যাশনে যুক্ত হয় আরেকটি নতুন অনুষঙ্গ। আর যারা সিগারেট খায় না, তারা হয়ে যান আন-স্মার্ট!

 

তবে এখন শুধু পুরুষই না, নারীরাও কিন্তু সিগারেট খায়। কেন সিগারেট খান? কাউকে প্রশ্ন করলে হয়তো উত্তর হবে এমন, জানি না। তবে যা ভেবেই সিগারেট খান না কেন। সিগারেট আপনার দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। আপনি জানেন কি সিগারেট মানে বিষপান।

 

সিগারেট শরীরের যেসব ক্ষতি করে:

মাথার চুল থেকে পায়ের নখ, একটা লোকের সম্পূর্ণ দেহ। শরীরের এমন কোনো অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নেই যেখানে তামাকের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। চোখের ছানি পড়া। মুখের ভেতর ক্যানসার। গলায় ক্যানসার। কানের শ্রবণশক্তি হ্রাস পাওয়া। বুকের একদিকে হৃৎপিণ্ডের সমস্যা, হতে পারে ফুসফুসে ক্যানসার। পুরুষের যৌনশক্তি হ্রাস। আরো কতো কি?

 

মেয়েদের অকালে গর্ভপাত। চর্মরোগ। সবশেষে পায়ের নখে পচনশীল রোগ গ্যাংরিন। এর জন্য পা কেটে ফেলতে হয়। একমাত্র তামাক, যার মধ্যে সাত হাজার রাসায়নিক পদার্থ আছে। এগুলো সবই বিষাক্ত।

 

আর সবচেয়ে মারাত্মক হলো নিকোটিন। নিকোটিন হলো কঠিন নেশার মতো। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, নিকোটিন হেরোইন ও কোকেনের চেয়েও অধিক শক্তিশালী। এজন্য যারা সিগারেট একবার ধরে, তারা আর ছাড়তে পারে না। নেশায় আসক্ত করার শক্তিটা তার অনেক বেশি।

 

প্রচণ্ড মানসিক চাপ

বেশির ভাগ মানুষের ক্ষেত্রে দেখা যায়, মানসিক চাপ থেকে মুক্তির জন্য মানুষ সিগারেট খাওয়া শুরু করে। কিন্তু পরে তা আর ছাড়তে চায় না। বলা যায় ছাড়তে পারে না।

 

তীব্র শোক থেকে মুক্তি

অনেকের ধারণা সিগারেট এমন একটি জিনিস যা মানুষকে কোনো ধরনের আঘাত বা শোক থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। সেই কারণেও অনেকেই সিগারেট ধরিয়ে থাকেন। 

 

 

মজা করে খাই

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে ছাত্র থাকাবস্থায় বন্ধুদের সঙ্গে মজা করে সিগারেট খেতে গিয়ে তা অভ্যস্ততায় পরিণত হয়। এই ধরনের মজা থেকেই সিগারেট খাওয়া শুরু করেন অনেকে। পরে আর ছাড়তে পারেন না।

 

স্মার্ট হওয়া

অনেক পুরুষেরই ধারণা, সিগারেট খেলে নিজেকে বেশি স্মার্ট দেখায়। তাই বর্তমান ফ্যাশনের সঙ্গে তাল মেলাতে অনেকে সিগারেট খেয়ে থাকে। তবে জেনে রাখা ভালো, সিগারেট খেলে কখনো স্মার্ট হয় না। বরং এটা বিষপানও বটে। 

 

সময় কাটানোর জন্য

অনেক সময় স্মোকারদের কাছে একাকীত্বের সঙ্গী হিসেবে সিগারেট একটা বিরাট ভূমিকা পালন করে। কারো কাছে হয়তো কিছু না করে দশ মিনিট সময় কাটানো, বেশ কষ্টের হতে পারে। কিন্তু একটা সিগারেট ধরালে সময় নিমিষেই কেটে যায়। অনেকে আবার সিগারেট সঙ্গে থাকলে নিজেকে একা মনে করেন না, সিগারেটকে সঙ্গীর মতো মনে করেন!

 

আমি বড় হয়ে গেছি

এখনকার সময়ের টিনেজারদের মাঝে একটা ব্যাপার ভীষণ লক্ষণীয়, তারা একটু বড় হলেই ভাবে আমি তো অনেক বড় হয়ে গেছি। তখন তারা বড়দের কাজ করতে আগ্রহী হয়ে উঠে। যেমন, আমার বন্ধুরা সিগারেট খাচ্ছে, আমি না খেলে কেমন দেখায়। এছাড়া ওরা হয়তো আমাকে অসামাজিক ভাবতে পারে। এসব চিন্তাভাবনা থেকেও অনেক কম বয়সীরা ছেলে-মেয়েরা সিগারেট খাওয়া শুরু করে।

 

গার্লফ্রেন্ডকে করতে হবে ইমপ্রেস

এমন বহু মেয়ে আছেন যারা সিগারেট না খাওয়া ছেলেকে আন-স্মার্ট ভাবেন। আবার ছেলে বন্ধুর সিগারেট খাওয়াকে বেশ উপভোগ করেন। এ কারণেও অনেকেই সিগারেট খায়।

Google Ads

Google Ads

Google Ads

Google Ads

Newer Posts Newer Posts Older Posts Older Posts

Related Posts

Google Ads

Comments

Post a Comment
Loading comments...